বেলা শেষ

মৃত্যু তুমি আসবে কেমনে
কোন দেশ এ, কোন রূপে?

আসবে কি ঝড়ের বেগে,
ঘূর্ণির পাঁকে, পেঁচিয়ে নিতে?

কিম্বা আসবে বীর সৈনিকের বেশে,
তোমার জয়ের ঘোষণা, যুদ্ধ শেষে?

আসবে কি তুমি নিঝুম রাতে,
মন ভোলানো এক স্বপনের সাথে?

কিম্বা একদিন চলার পথে,
নিয়ে জাবে খেলার ছলে, হাতটা ধরে?

মৃত্যু তুমি নীরব কেন?
প্রশ্ন গুলোর উত্তর কি জান?

তবে তুমি থাকবে, আমি জানি,
বন্ধু হয়ে, শেষ বেলার সহযাত্রী।

#amarbanglakobitagd

#straightfromtheheartgd

#huesoflifepoetrygd

স্বপ্ন

বাল্য কালের স্বপ্ন গুলো
জেন শরত কালের বৃষ্টি।
হটাত করে ওড়ে আসে আর
রেখে জায় অনুভূতি মিষ্টি।

যৌবন কালের স্বপ্ন গুলো
জাগে রাত ভোর।
আকাশ পানে তাকিয়ে তারা
গড়তে চায় মজবুত সেকড়।

বার্ধক্যের স্বপ্ন গুলো
লাঠিতে ভর, নড়বরে পায়।
নানা রং এর ওষূধের মাঝে
বেঁচে থাকার জানান দেয়।

চলে জাওয়া

হটাখেয়াল হল।
কখা গুলো রয়ে গেল
বলা হল না।

চোখে জল,
মুখে রেখা, কৃত্রিম হাঁসীর।
সময় জে আর নেই বাকি।
হটাত খেয়াল হল।
কখা গুলো রয়ে গেল
বলা হল না।

চাওয়া-পাওয়া, দেওয়া-নেয়া,
হিসেবের খাতার শেষ পাতা।
দেখা হওয়া র শেষ বেলা।
হটাত খেয়াল হল।
কখা গুলো রয়ে গেল
বলা হল না।

শেষ একবার ফিরে দেখা।
চোখের জলে রুমাল ভেজা।
ঠোঁট দুটো কেঁপে জাওযা।
ফিরে জাওয়ার তীব্র ইচ্ছা।
হটাত খেয়াল হল।
কখা গুলো রয়ে গেল
বলা হল না।

রদ্দুরের মজা

গাছের ডাল গুলো কেটে দিয়ে গেল ওরা।
খুব নাকি বেড়ে ওঠেছিল,
রাস্তার ওপরে প্রসারিত হয়ার
স্পর্ধা দেখিয়েছিল।
মানুষের তৈরি জগতে ঢুকে পড়েছিল।
ট্রাফিক আলো ঢেকে দিয়ে
জান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছিল।
কেবল টেলিভিশনের তারের ওপর প্রায়ই মেজাজ দেখাচ্ছিল।
এত স্পর্ধা
মানুষ সজ্জ্ করতে পারে নাকি?
মানুষের আদেশ ছাড়াই
গাছটা কেন বেড়ে ওঠল?
তাই কেটে ফেলেছে।
রাস্তার ওপর বাড়ান ডাল-পালা
বেহিসাবি ছেটে ফেলেছে।

আজকে,
তাই রোদ্দুরের ভারি মজা।
ঝাঁকে- ঝাঁকে রদ্দুর
ধেয়ে আসে বীর বিক্রমে,
বিঁধে জায় সারা অংগে;
জেমন অর্জুনের গান্ডীব থেকে নিক্ষেপ করা হাজার-হাজার তীর
দিয়েছিল ভিস্মকে সর-সয্যা।

রদ্দুরের আঘাতে জর্জরিত হয়ে
জিভ বের করে, ধুঁকতে-ধুঁকতে,
শুয়ে থাকে কুকুর টা।
আর অপেক্ষায়ে বেঁচে থাকে মানুষ।
চোখ খোঁজে নীল আকাশে,
অল্প একটু মেঘের আভাস।

IMG_20190805_140631.jpg

সিমাবদ্ধ

মানুষ টা বসে থাকে রোজ।
এক জায়গায়,
এক ভাবে,
মনোযোগ সহকারে
পরতে দেখি রোজ,
একটী খবরের কাগজ।

মুখ ভরা দাড়ি-গোঁফ।
পরনে একটাই কাপড় রোজ।
বিটকেল গন্ধ টা তার দেহের অংগ,
পুর্ন করে তার সাজ-গোজ।

পথের ধারে বসে
মনোযোগ সহকারে
নয়ন বিষ্ফারিত করে
গুরু গম্ভীর স্বরে
পড়তে দেখি রোজ
একটি খবরের কাগজ।

কি জানি কি খোঁজে সে
কালো ছাপা অক্ষরের মাঝে?
ভাষার ছন্দ,
তার অর্থ, লয়, কিম্বা তার মর্ম,
কিছু্ই কি হয় তার
বোধগম্য?

রোজকার এক কাজ,
ফেলে দিয়ে বাকি কাজ,
খবরের কাগজের মাঝে তার
সিমাবদ্ধ থাকা সংসার।
হয়তো সুখ, শান্তি,
কিম্বা স্বপ্নের খোঁজে,
পড়তে বসে সে রোজ,
একটি খবরের কাগজ।

IMG_20190124_140648.jpg

মনে পড়ে গেল

নিস্তব্ধতা
হানল হাজার তীরের ফলা।
বিধলো এসে সোজা
ভেদিল মস্তিষ্ক, বুকে।
তারপর,
বহু বছরের জমাট বাঁধা
কত স্মৃতি, ভাললাগার মুহুর্ত,
জমে থাকা রাগ, অভিমান, দুঃখ,
ইচ্ছে, আকাঙ্খা,
নিস্তব্ধতার হানায়
ছড়িয়ে গেল
সুকনো ঝরা পাতার মতন।
শুধু থেকে গেলাম আমি
একলা আর
চারপাশ বিশ্ব ভরা নিস্তব্ধতা।

IMG_20190331_163546.jpg

হটাত বসন্ত

হটাত দেখি ভোরের বেলা
বসন্ত এক মাতাল হাওয়া।
ছুঁয়ে গেছে কোন আবেগে
মোড়ের মাথায়,
পথের বাঁকে,
দাড়িয়ে থাকা পলাশ গাছ টাকে।
আড়মোড়া ভেঙ্গে আজ জেগেছে
রাংগা ফুলের বাহার নিয়ে।
দুলছে সে এক ছন্দ তে
পুর্ন হবার আনন্দ তে।
পলাশ গাছের পুর্নতা তে
ভালো লাগার উষ্ণতা তে
ওধাও হোলো এক মুহুর্তে
জমাট বাঁধা মনের ক্লেশ।

বছর ঘোরার পালা

বাদুড় ঝোলা মানুষের ভীড় ট্রেনে বাসে
নতুন বছর ঢুকবে মাঝে এঁকে-বেকে।
দুষন ভরা আকাশ থেকে নামতে গিয়ে
নতুন বছর গাড়ির ধোঁয়ায় আটকে থাকে।
কন্কূইট এর জন্গল মাঝে একটা গাছ
দীর্ঘশ্বাসে নতুন বছরকে দিচ্ছে ডাক।
হিমেল হাওয়া কাঁপিয়ে হাড় বস্তি টায়।
নতুন বছর ছোট্টো ছেলের শিকনী বয়ে।
লালু, কালুর দলবলের ঘুমের ব্যাঘাত করে
লাউডস্পিকারে গানের তালে নতুন বছর ঘোরে।
“তোদের গ্রামে আসবে এবার নতুন বছর
তোদের নেতা, ফিরবো আমি, আগামী বছর।”
নতুন বছর? সে আবার কোন গাঁ থেকে আসে?
আধ পেটা খেয়ে শিবু মুন্ডা ভেবেই মরে।

সাঁঝবেলা

দিনের শেষে
রাত্রি এসে,
ধীর পায়ে তে
চুপটি করে।
নামলো এসে জলের মধ্যে
নিজের রং এর জাল বুনতে।
রজনী মাখা আন্গূল গূলো
বুলিয়ে দিয়ে ভালবেসে
ছন্দ্ব পতন জলের ওপর
খেলার ছলে
রাত্রি ভাশে।

IMG_20181222_235054

পুজো ২০১৮

কাল পথের ধারের
দুর্গা মন্ডপ এর পাশ দিয়ে জেতে গিয়ে দেখি,
মন্ডপ এ আলো জ্বলছে,
ঠাকুরের প্রতিমা এসে গেছে।
নেচে উঠলো মনে টা।
একটু হিমেল হাওয়ার অনুভুতি পেলাম নাকি?
আর একটা পুজো
এসে গেলো বুঝি?
আবার সেই পাগল করা দিনগুলো ফিরে আসবে।
খুশির একটা আমেজ।
ছুটে জেতে ইচ্ছে জাগা মন,
পাহাড়, জংগল, সমুদ্রের নিমন্ত্রণ।
শৈশব এর দিনগুলোর শ্রীতিমনথন।
নুতন পোষাক এর গন্ধ নিয়ে
আবার এসে গেলো
আর একটা পুজো?
বন্ধু কে খোঁজার তাগিদ নিয়ে,
আড্ডা আর হৈচৈ এ জানান দিতে,
রোজনামচা জিবন এর ছন্দ ভাঁংতে
আবার এসে গেলো
আর একটা পুজো?
ঢ়াকের শব্দ আসবে ভেসে,
ঘুমের দেশের সিমানা শেষে।
আলোর রোশনাই, শিল্পির শ্রৃষ্টি।
করজোড়ে দাঁড়িয়ে ছেলেটা,
অপলক দৃষ্টি।
আবার এসে গেলো
আর একটা পুজো।
IMG_20181016_140746
Peter's pondering

Random views and musings with a sprinkling of idiocy

Britta's Blog - Letters from Scotland

Life, the universe and everything, Britta-style

Amitabha Gupta

Photographer & Travelogue Writer

Let's Write......

the magic begins the moment you start being yourself

Nffictionophile

Not only fiction - an avid non-fiction reader too.

gitabharath

random thoughts

Beth Byrnes

... a beautiful life

Don't hold your breath

Tripping the world, slowly

Nortina's Writing Inspiration Well

A blog to inspire the insecure writer in all of us

And Miles to go before I sleep...

Explore.Create.Inspire.Learn.Laugh.Live

raging rambles

suffering sappho!!!

Poetry and Prose of Ken Hume

Engaging in some lyrical athletics whilst painting pictures with words and pounding the pavement. I run; blog; write poetry; chase after my kids & drink coffee.

The Poetorium at Starlite

An Open Mic & Poetry Show

%d bloggers like this: